Writer : Dr. Tania Hafiz
2003-2004
চেম্বার প্রাকটিসে কিকি প্রয়োজন???
———————————
১। সৃষ্টিকর্তার রহমত
২। পিতামাতা, মুরব্বিদের দোয়া
৩। নিজের জ্ঞান, শিক্ষা, সদ্বব্যবহার, ধৈর্য্য, সময়।
৪। যন্ত্রপাতি, ডেকোরেশন ইত্যাদি।
যদি বলি আরো একটা জিনিস লাগে।
“বুদ্ধি”। জ্বি হ্যা নিজস্ব বুদ্বিমওা। এটা একেকজনের একেক ধরনের হয়ে থাকে।
আমি আমার কিছু ব্যক্তিগত টিপস শেয়ার করছি।
🤔কেন শেয়ার করছি জানেন???
আমরা যারা জেনারেল প্রাকটিশনারস তারা যেন রোগীকে আরো বেশী আশ্বস্ত করতে পারি, নিজেও যেন কিছুটা সেফ থাকি।
” মাঝেমধ্যে এমন কথা শুনি যে অমুক ডাক্তারের কাছে গেলেই আমার রোগ ভালো হয়ে যায়, তার কথা শুনলেই সুস্থ অনুভব করি।” এবং এটা সত্য হ্যা একজন ডাক্তারকে এভাবেই রোগীকে সেবা দিতে হবে।
মেডিসিন আমরা সবাই কমবেশী একই রকম লিখি, কিন্তুু এখানে কথা হলো রোগীর সাথে সুন্দর ব্যবহার, কাউন্সিলিং।
একবার বলেছিলাম যে Ratin Mondal sir এর একজন রোগী সাভারে আমার চেম্বারে এসেছিলেন। তিনি সাভারে এখন জব করেন। সেই রোগী আমাকে এসে বললেন “স্যারকে রংপুরে দেখাতাম, স্যার যে কতোটা ভালো তা তার রোগীরা জানেন, আমাকে অনেক সময় নিয়ে দেখেছিলেন, খুব ভালো ব্যবহার স্যারের”।
আসুন তাহলে আজকের টপিক নিয়ে কিছু কথা বলি…..
১। আল্ট্রাসনোগ্রাম যারা করেন তাদের জন্যঃ আমি সবসময় কিছু extra আগে করা scan ড্রয়ারে রাখি। এই যেমন ধরেন Full Bladder, GB, blighted ovum, 6wks early live pg etc, Etc.
🤔কেন রাখি?
রোগীরা বলেন ” আমার প্রসাবের চাপ আছে কিন্তুু আপনি বলছেন চাপ নাই”। এমনটা রোগীরা করেন, একটু চাপ হলেই অস্থির যে চাপ হইছে, চাপ হইছে এই নিয়ে। আমি ২বারের পর তৃতীয়বারে আর অপেক্ষা করি না। আল্ট্রা করে দেই এবং লিখে দেই “Bladder is not well filled/ not filled”
রোগীর সাথের লোকগুলো যখন মাঝেমধ্যে উচচবাচ্চ্য করেন তখন আল্ট্রা শেষে সুন্দরভাবে তাদের ডেকে আগের স্ক্যান পেপারটা (যেটা আমার কাছে রাখি সবসময়) দেখিয়ে দেই “এই দেখুন আপনার রোগীর মুএথলি কতটা ভর্তি আর আমার আগের রোগীর কতটা ছিলো।”
তখন রোগীর লোক বুঝতে পারে এবং বলেন ঠিক বলেছেন ম্যাম ছবিতে বুঝা যাচ্ছে।
তেমনি Blighted ovum (আমি তো pregnant কাঠিতে ২দাগ উঠছে বুঝেনা blighted ovum কি) and 6wks live pg এর তফাত বুঝানো যায় যদি এক্সট্রা scan করা থাকে।
ডায়াগনস্টিক মালিকেরাতো বুঝেন না যে Whole abdomen scan এর একটা Preparation থাকে। তাইতো খেয়ে রোগী আসলেও এরা বলেন আল্ট্রা করে দেন ম্যাম। কতো যে রোগীকে বলতাম প্রিপিয়ার হয়ে পরদিন আসবেন। এতে দেখা যেতো মালিক, রোগী উভয়ই অসন্তুষ্ট হতো। এখন অবশ্য অনেক উন্নতি হয়েছে।
যাইহোক খেয়ে আসাতে তার Gall bladder contracted or gas shadow ইত্যাদি যে হয় তখন তাকে দেখাতাম এবং সাথে আগের প্রিপিয়ারড আল্ট্রার স্ক্যান টাও দেখাই।
Breath holding এর ব্যাপারটা নিজে করে রোগীকে বুঝিয়ে দেই কারন অনেক রোগী এই বিষয়টা বুঝেন না।
২। এখন Derma নিয়ে বলিঃ আমি এ ধরনের রোগীর পিক তুলে রাখি প্রথমবার । এরপরে যখন তিনি আসেন তখন আমি এবং রোগী উভয়ই বুঝতে পারি কতোটা Improve হলো।
নোটঃ আমার রোগীরা আবার খুবই কো-অপারেটিভ, পারমিশন দেয় পিক তুলতে তাই সুবিধা হয়। (আর তাইতো গ্রুপেও শেয়ার করতে পারি🤓।)
চর্মরোগীদের অবশ্যই ক্রীমের ব্যাবহারবিধি বলে দিতে হবে, এবং আমি বলার পর আবার রোগীকে জিজ্ঞেস করি বলুনতো কিভাবে ব্যবহার করবেন। এতে করে রোগী আরো ভালোভাবে বিষয়টা বুঝতে পারেন।(আগে একটা পোস্টে ডিটেইলসে বলেছিলাম এই বিষয়ে)
৩। গাইনীতে দেখবেন অনেক রোগী আছেন সাদাস্রাবের সমস্যা নিয়ে। এই ধরনের রোগীর details history নেয়ার পরে যখন বলবেন “বেডে শুয়ে পরুন PV করবো (ভিতরে দেখতে হবে)”। তখন রোগী বলেন” ম্যাম ভিতরে না দেখলে হয়না, এখন ঔষধ দেন ভালো না হলে পরেরবার দেখেন।” আমি রোগীকে যেকোনো ভাবে হোক বুঝায়ে PVকরি। কিন্তুু যখন পারিনা তখন প্রেসক্রিপশনে লিখে রাখি “P/V examinaton is not done for patient wish”
আপনি একজন রোগী দেখলেন পেটে ব্যাথা, লিউকোরিয়া, টেস্টের পরে দেখলেন ৫-৬ সপ্তাহের প্রেগনেন্ট। রোগী বাচ্চা রাখবে না, সুতরাং এই রোগীকে প্রেসক্রিপশনে ” Reffer to hospital for better mx” দিয়ে রেফার করবেন। কখনোই Abortificant দেয়া যাবেনা।
আমি Blighted ovum এর কেসে লিখে দেই Advice: D and C” হ্যা অনেকেই বলেন spontaneously, না হলে তারপর। কিন্তু প্রেসক্রিপশনে এডভাইসে ডিএনসি লিখলে নিজের সেফটি থাকে 🍂।
৪। যখন শিশু রোগী দেখা হয় যেমন-২-৩-৪বছর বয়সের এরা স্টেথোস্কোপ দেখলেই কান্না শুরু করে। সে যে কি কান্না (তার কান্নায় আমারই কান্না আসে, ইসস আমার জন্য ও এতো চোখের জল ফেলছে😭,
তাইতো শিশু রোগী থেকে দুরে থাকি)। এরপরও দেখতে হয় “ Labial fusion, Leucorrhoea, RTI, Abdominal pain, Fever, oral candidiasis etc etc তো আছেই”।
এবার আমার টেকনিক ” চকলেট দিবো যদি তুমি আমাকে দেখতে দাও, আন্টিতো কিচ্ছু করবেনা শুধু তোমার পেটটা দেখবে তুমি যে চিপস,মাছ,নুডুলস,ডিম,দুধ,চকলেট খাও ওগুলো কোথায় গিয়েছে পেটে সেইটা দেখবে।”
আবার কখনো বলিঃ এই যে তুমি নিজে আগে আমাকে দেখো এটা (স্টেথো) দিয়ে তারপর আমি তোমাকে দেখবো।
আবার থার্মোমিটার বগলে দিয়ে ওর অন্য হাতে কলম দেই ছবি আকো প্যাডে।
(বাচ্চাদের আল্ট্রা আর চেকআপ করতে আমার অবস্থা 😥😓😢…..) এই বিষয়ে আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।
৫। মেডিসিনের রোগী যারা Hypertensive / Dislipidaemia /ডায়াবেটিক পারলে তাদের প্রেসক্রিপশনে চর্বিযুক্ত খাবারের নাম, লবন খাবেন না/কতটুকু পরিমান খাওয়া যেতে পারে এবং ভাজা/টালা লবনও না এগুলো লিখবেন (ডকুমেন্ট স্বরুপ)। হাটতে হবে কতক্ষণ এবং হাটার নিয়ম কি এগুলো বলে দিবেন। দেখবেন রোগী কতটা সন্তুষ্ট হয় আপনার প্রতি।
এলার্জীজাতীয় খাবারের ক্ষেএে যওো খাবারে এলার্জি এভাবে না বলে আমি বলি “আপনার যে খাবারে এলার্জী আছে সেইটা খাবেন না। কারন কারো বেগুনে এলার্জী আছে অথচ অন্যজনের তাতে নাই তার আছে আলুতে এলার্জী, তাই যার যেটাতে এলার্জী সে সেইটা খাবেন না”।
HTN, Dyslipidemia, Asthma, DM, UTI, Leucorrhoea, ANC, sone of Skin diseases, conjunctivitis etc etc এমনসব রোগে ঔষধের পাশাপাশি উপদেশগুলো রোগীকে ভালো করে বুঝিয়ে দিতে হবে +সম্ভব হলে কিছু কিছু লিখে দিবেন (গুরুত্বপূর্ণগুলো)।
ইনসুলিনের ব্যাপারে রোগীরা নিতেই চায় না, বারবার ফুটা করতে হবে, নিলে সারাজীবন নিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি নানান অজুহাত। যাইহোক ইনসুলিন লাগলে কাউন্সিলিং করে রাজি করাতে হবে, শেষ পর্যন্ত না নিলে অবশ্যই প্রেসক্রিপশনে লিখে দিবেন ” Insulin name dose…. ”
কিন্তু অবশ্যই অবশ্যই এবং অবশ্যই লিখে দিবেন ইনসুলিনের কথা নিজের সেফটির জন্য।
এমন আরো অনেক বিষয় আছে যা করলে রোগীর সন্তুষ্টি পাওয়া যাবে+রোগী ম্যানেজ করতে বেগ পেতে হবে না+নিজের সেফটি Maintain হবে।
Edited By : Nahid Hassan.
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.