Writer : Dr. Tania Hafiz , 2003-2004
রোগীকে প্রেসক্রিপশনে ঔষধ লিখার পাশাপাশি উপদেশ/Precautions /Prevention গুলিও ভালো করে বুঝিয়ে দিতে হবে। যেমনঃ HTN, Diabetes, Asthma, Dyslipidemia, Leucorrhoea, UTI, Back/Joint/ any type of pain etc etc এমন রোগ থাকলে সমাধান, প্রতিকার, প্রতিরোধ, লাইফস্টাইল মডিফিকেশন, কি করা যাবেনা/কি কি করতে হবে এই নিয়মগুলিও বলে-দেখিয়ে-বুঝিয়ে দিতে হবে।
আজ Back/joint/others pain and our positions in different activities এই বিষয়ে আলোচনা করবো।
ব্যাথা একটা Common Problem । তাই এই টপিক নিয়েই পোস্ট। কোনো Pharmacological Treatment । Non-Pharmacological Treatment/ উপদেশ নিয়ে কথা।
১। সম্পুর্ণ বিশ্রাম/ বিশ্রামে থাকবেন…….. দিন।
২। ব্যাথার স্থানে দিনে…… বার….. মিনিট গরম/ঠান্ডা সেক দিবেন।
৩। ঝুঁকে কাজ করবেন না।
৪। ভারী কোনো ওজন তুলবেন না।
৫। দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকতে হলে একটু পরপর পায়ের ভর বদল করুন।
৬। টয়লেটে হাইকমোড / চেয়ার কমোড ব্যবহার করুন।
৭। নরম, আরামদায়ক স্যান্ডেল/জুতা ব্যবহার করুন।
৮। শক্ত ও সমান বিছানা, পাতলা নরম বালিশ ব্যবহার করুন/বালিশছাড়া।
৯। বিছানা থেকে উঠার সময় কাত হয়ে হাতের উপর ভর দিয়ে উঠুন।
১০। একনাগাড়ে অনেক সময় বসে বা দাড়িয়ে কাজ করবেন না। কিছু সময় দাড়ানোর পর একটু সময় বসুন/ অনেক সময় বসার পর একটুসময় হাটুন।
১১। হাটুর সমস্যায় হাটু ভাজ করে বসবেন না।
১২। প্রতিদিন সমান রাস্তায়…….. মিনিট হাটবেন, হাটার নিয়মও বুঝিয়ে দিতে হবে।
১৩। ভ্রমনের সময় cervical collar/ lumbar corset ব্যবহার করুন।
১৪। ঝুঁকিবহুল যানবাহন ও রাস্তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
১৫। যদি কোনো ব্যায়াম থাকে সেগুলো শিখিয়ে দিতে হবে।
১৬। কোনো জিনিস তোলার সময় হাটু ভাজ করে, কোমর-পিঠ সোজা রেখে তুলুন।
১৭। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
১৮। উবু/কুজো হয়ে কাজ থেকে……. দিন বিরত থাকুন যেমনঃ ঘরমোছা, কাপড় কাচা, মশলাবাটা, তরকারী কাটা ইত্যাদি ইত্যাদি। একান্তই করতে হলে একেবারে ফ্লোরে বসে কাজ করতে হবে।
১৯। প্রেসক্রিপসনে ক্যালসিয়াম Advice করলে সাথে Calcium, Vit D containing foods এর নাম বলে দিবেন।
২০। কোনো topical analgesics advice করলে ব্যবহারের নিয়ম বুঝিয়ে দিতে হবে।
২১। Associated HTN, DM or others diseases থাকলে কন্ট্রোলের কথা বলতে হবে।
২২। বয়স্ক রোগীদের কাউন্সিলিং করতে হবে যে বয়সজনিত কারনেও কিছু ব্যাথা হয়ে থাকে।
২৩। কিছু রোগ সন্দেহ হলে তার জন্য টেস্ট শুধু লিখে দিলে হবেনা, মুখে বুঝিয়ে দিতে হবে যে কেন টেস্টগুলি করতে হবে, এর গুরুত্ব বুঝাতে হবে।
২৪। মাথাব্যাথা যেমনঃ মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে ট্রিগারিং ফ্যাক্টরগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। সাথে আর কি কি করতে হবে(reliving factors) সেগুলো বুঝিয়ে বলতে হবে।
২৫। যেকোনো ব্যাথায় মালিশ করা, হাত-পা টেপানো, তেল দেয়া এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
২৬। যাদের ঘাড়ে ব্যাথা/সমস্যাঃ পড়াশোনা/ গাড়ি চালানো /অন্যান্য কাজের সময় যেন ঘাড় ভাজ করে কাজ না করে, ঘাড় সোজা রেখে কাজ করতে হবে।
২৭। কোমড় ব্যাথায় চেয়ারে বসার সময় কোমড় বাকা/ ভাজ করে বসা যাবেনা, Spine er curvature maintain করতে হব। পজিশন বুঝাতে হবে।
২৮। শোয়ার পর যতটা সম্ভব মেরুদণ্ড সোজা রেখে শুতে হবে।
২৯। মেরুদণ্ড সোজা রেখে ওজন বহন করতে হবে। যেমনঃ পানির বালতি, ব্যাগ এগুলো নিয়ে হাটার সময় একপাশে ঝুকে হাটলে সমস্যা হয়।
৩০। এমনভাবে বসতে হবে যেন দেহের ওজন কোমরে সমানভাবে বন্ঠিত হয়।
৩১। ব্যাথাজনিত এমন কিছু রোগে কিছু খাবার যার নিষেধ আছে এগুলো রোগীকে বলে দিন যেমনঃ গাউট।
৩২। অতিরিক্ত ব্যাথার ঔষধ /যখন তখন ব্যাথার ঔষধ/ অল্প একটু ব্যাথাতেই যে ব্যাথার ঔষধ খাওয়া ঠিক নয় এবং ব্যাথার ঔষধের সাইড ইফেক্টগুলিও কাউন্সিলিং করবেন।
একেকজন রোগীর ক্ষেএে একেক ধরনের এডভাইস।
কিছু সমস্যা আছে যা শুধুমাএ ব্যায়াম, উপদেশ আর লাইফস্টাইল মেইনটেইন করলেই ঠিক হয়ে যায়।
আশা করি আমরা যদি এভাবে রোগীদের কাউন্সিলিং করতে পারি উপকার সবারই হবে।
Edited By : Nahid Hassan.
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.