গর্ভকালীন সময় পানি পানের গুরুত্ব !!

Writer :

Dr. Tania Hafiz
2003-2004

এই সময় যে চেক-আপ করা হয় তখন আমরা গর্ভবতীকে বিভিন্ন ধরনের Councelling করে থাকি।

কখনোও কি আমরা পানি নিয়ে কোনো উপদেশ দেই🤔?
আর যদিও বা দেই তা কতটা দেই🤔?

হ্যা গর্ভবতী বুঝিয়ে দিতে হবে গর্ভকালীন সময়ে পানির গুরুত্ব কতটুকু। আমরা কিন্তুু একটা কথা সবাই জানি “পানির অপর নাম জীবন”। পানি আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপুর্ন, শুধুমাএ যে এই গুরুত্ব পানি পানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তা নয় বরং সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের জীবনে পানির ভুমিকা কি তা আমরা সবাই জানি।

যাইহোক এতো কথার মুলে একটাই কথা ” গর্ভকালীন সময়ে পানি পান গর্ভবতীর জন্য সহায়ক ভুমিকা রাখে” আজকে এই বিষয়েই পোস্ট। আমরা আমাদের রোগীদের বিষয়টা সম্পর্কে ধারনা দিব,

👉পানি রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।

👉গর্ভকালীন সময় কোস্ঠকাঠিন্য রোধে পানির সহায়ক ভুমিকা আছে।

👉এই সময় বমি, ডায়ারিয়া, প্রচুর ঘাম হলে পানি পান করতে হবে।

👉পানি খাদ্য পরিপাকে, হজমে সহায়তা করে।

👉ঠান্ডা, কাশি, গলাব্যাথা, খুশখুশ, জ্বর, ফ্লু এইসব সমস্যায় পানি পান করা উপকারী( কুসুম গরম পানি পান করা, গরম পানি+লবন দিয়ে গড়াগড়া করা, গরম পানির বাষ্প নেয়া ইত্যাদি)

👉পানি গর্ভের শিশু ও পুষ্টির সরবরাহ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

👉শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থসমুহ নিঃস্কাশনে সহায়তা করে।

👉ভ্রুনের কোষ বৃদ্ধির জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা আছে যা মায়ের শরীর থেকে আসে।

👉বুকের দুধ তৈরির জন্য শরীরে যথেষ্ট পরিমান পানির প্রয়োজন।

👉পানি শুন্যতার জন্য ডেলিভারির সময় Contraction বেশি হতে পারে এবং Labour Pain তাড়াতাড়ি শুরু হয়।

👉গর্ভকালীন সময় পানিশুন্যতার জন্য প্রায়ই মাথাব্যথা, ঘনঘন পানির পিপাসা লাগা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, Muscle Cramp, মাথা ঘুরানো এই সমস্যাগুলি দেখা যায়। তাই প্রচুর পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।

👉প্রসাবে সংক্রামন দুর করতে পানির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

👉গর্ভবতী মায়ের ত্বকের নমনীয়তা, আর্দ্রতা রক্ষার জন্য পানি পান করতে হবে।

👉Edema/ পা ফুললে পানি পান করতে হবে।

👉 এসিডিটি দুর করতেও পানি সহায়ক ভুমিকা রাখে।

📝নোটঃ কিছু ভুল ধারনা 🤷‍♀

🌐 অলিগোহাইড্রামনিও-তে অনেকেই ভাবেন পানি খেলে Amniotic Fluid এর পরিমান বাড়বে। এটা ভুল ধারনা।

🌐 পা ফুলা/ edema হলে রোগীর অভিভাবকের কথা পানি খাওয়া মানা, যতো পানি খাবে ততো পায়ে পানির পরিমান বাড়বে। এটা ভুল ধারনা।

🌐 ঠান্ডা কাশি হলে অনেকেই পানি খাওয়া কমিয়ে দেন। তাদের ভাষ্য পানি খেলে কাশি ও নাক দিয়ে পানি পরা বাড়ে। এটা ভুল ধারনা।

🌐 যাদের বমি বেশি হয়, তাদের কথা -পানি খেলেও বমি হয়, খালি পেটে থাকলে তারা আরাম অনুভব করে। এটা ভুল ধারনা। কারন পানি না খেলে প্রসাবের জ্বালাপোড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা হয়। তাই এইসময় পানি খেতে হবে। বমি হলেও খেতে হবে নয়তো পানিশূন্যতা হয়।
তবে হ্যা পানি খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। আমার আগের এক পোস্টে এবিষয়ে বলেছিলাম।

Edited By : Nahid Hassan.