Writer : ডা. কাওসার, ঢামেক, কে-৬৫
মামুন মিয়ার পা দুটো বেশ কামরাচ্ছে ক’দিন ধরে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করেন শুধু। একটু যে হাঁটবেন সে অবস্থাও নেই। একদিকে পায়ে জোর কম, অন্যদিকে করোনা রোগীর বেশি হাঁটাহাঁটি করা বারণ, ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে।
ইদানিং আবার তার শ্বাস নিতেও একটু কষ্ট হয়। নিজেই নিজের বাম হাত দিয়ে ডান হাতের পালসটা মাঝেমধ্যে ধরে দেখেন, কিছুটা কম, আর একটু এলোমেলোও বটে!
একদিন সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে তার সমস্যাগুলো জানান। তিনি তৎক্ষণাৎ একটি ECG করতে বললেন!
ECG তে flat T wave, U wave!
Serum electrolytes করার পরামর্শ দিলেন। K কম!
Severe COVID রোগীর Hypokalemia হওয়ার বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে! কিন্তু কেন ও কিভাবে?
★ এর একটা কারণ হতে পারে ACE 2 receptor, যার সাথে SARS-CoV-2 ভাইরাস যুক্ত হয়ে সাধারণত শরীরে প্রবেশ করে। এই receptor গুলো occupied হওয়ায় angiotensin এর সাথে সম্পর্কিত renin angiotensin aldosterone system (RAAS) over-activated হয়। এর ফলে শরীরে aldosterone যায় বেড়ে, ফলাফল K যায় কমে!
★ Inflammatory vasodilation হয়ে plasma leakage হলে circulatory volume কমে যেতে পারে। যার ফলে renal perfusion কমে গিয়ে RAAS activated হতে পারে, এতেও কমতে পারে K লেভেল।
★ তাকে একটা বিখ্যাত ওষুধ খেতে দেয়া হয়েছিল। সে ওষুধ নিজেই Hypokalemia করতে পারে।
Hypokalemia আরো বাড়লে QT prolongation করে cardiac arrhythmia হয়ে cardiac arrest হতে পারে।
যাই হোক, সমস্যা যেহেতু সাধারণ না, তাই সব সম্ভাবনা চিন্তা করে তার জন্য যা যা করা হল,
সেই বিখ্যাত ওষুধ বন্ধ করে দেয়া হল। যদিও সেই ওষুধের half life অনেক বেশি। ওষুধের প্রভাব কাঁটতে সময় লাগবে।
তার circulatory volume ঠিক রাখতে fluid balance মেইনটেইন করার দিকে নজর দেয়া হল।
K supplement দেয়া হল।
রোগী এখন আগের চেয়ে ভাল!
ডাব, কলা, কমলায় পটাশিয়াম আছে। কলা মোটামুটি সস্তা, মাঝেমাঝে তাই খাওয়াই যায়। খবরদার এই পোস্ট কেউ বাইরে দিবেন না! যারা কলা পাউরুটি খেয়ে দিনাতিপাত করে, তাদের তখন কষ্ট হয়ে যাবে!
ডা. কাওসার
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.