Writer : ডা. কাওসার
ঢামেক, K-65.
আমাদের শরীরে যখন কোন বহিঃশত্রু pathogen প্রবেশ করে তখন Immune system এর T cell পুলিশ সিগনাল পাঠায় B cell সেনার কাছে। B cell সেনা শত্রুকে নিষ্ক্রিয় করতে specific antibody গুলি করা শুরু করে!
Antibody তৈরি শুরু হওয়া, যথেষ্ঠ পরিমাণ তৈরি হওয়া, তারপর তাদের কাজ শুরু করা, আর একে একে সব virus কে মেরে ফেলা, এই সবকিছু শুরু থেকে শেষ করতে বেশ সময় লাগে। এই সময়ের উপরই নির্ভর করে যুদ্ধ কত দিন চলবে, আর আমার শরীর কতদিন ভুগবে। যার immunity যত Strong তার Suffering duration তত কম!
যতদিন যুদ্ধ চলবে, অর্থাৎ শত্রু antigen কে সেনা antibody যতদিন না পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করতে পারবে ততদিন antigen গুলো সংখ্যাবৃদ্ধি করে ক্ষতি করতেই থাকবে। এই ক্ষতি দুই রকম হতে পারে,
১. virus নিজে থেকে কিছু ক্ষতি করে,
২. তার থেকে বেশি ক্ষতি করে শরীরের অন্য বাহিনীগুলো! বহিঃশত্রু দমনে তাদের অভিজ্ঞতা কম, তাই তারা অন্ধের মত প্রচুর গুলি করে, রিলিজ করে প্রচুর cytokine, হয় cytokine storm, নিজের দেশের লোকই তখন গুম-খুন হয়, ডেভেলপ করে complications!
যুদ্ধে যোদ্ধারা জয়ী হল, বহিঃশত্রুর হাত থেকে মুক্ত হয়ে দেশ হল স্বাধীন।
যুদ্ধজয় শেষে দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ চিন্তা করলো, ‘prevention is better than cure!’ অর্থাৎ আগের বার তারা প্রস্তুত ছিল না, এবার আগে থেকেই সৈন্য চৌকি বসবে রাস্তার মোড়ে মোড়ে! শত্রু দেখলেই ডিরেক্ট একশন! এই যে সৈন্য চৌকি, যারা আগে থেকে শত্রুকে চেনে তাদের বলা হয় memory cell. শত্রু আসা মাত্রই, ক্ষতি করার আগেই সব শত্রু মেরে যুদ্ধ শুরুর আগেই শেষ!
অর্থাৎ শরীর ওই virus এর বিরুদ্ধে immunized. এই immunity পূর্ব যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে সরাসরি অর্জিত, তাই একে বলে natural active immunity.
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, এই active immunity কি life long থাকবে?
দুটো ঘটনা চিন্তা করুন,
১. আগের শত্রুরা দাড়ি গোঁফ রেখে, বা মুখে মুখোশ পরে বেশভূষা পাল্টে আবার আক্রমণ করলো। এই ঘটনাকে বলে mutation! memory cell শত্রুকে তাই চিনতে পারছে না। ফলে আবার যুদ্ধ শুরু, হল Re-infection!
২. Memory cell এর সংখ্যা অপর্যাপ্ত, কম তাই antibody production ও. সেনা memory cell গুলো মাঝেমাঝে বাড়িতে যায় প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে। টহল চৌকি ফাঁকা দেখে সুযোগ বুঝে শত্রুরা আবার আক্রমণ করলো। আবার যুদ্ধ, এটাও re-infection!
শুধু কি re-infection ই হতে পারে, নাকি অন্য কিছুও ঘটতে পারে?!
আল্লাহ না করুক, আগের যুদ্ধে কিছু শত্রু বেঁচে থেকে সেনাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের জনগণের সাথে মিলে গিয়ে লুকিয়ে থাকতে পারে। শত্রু শরীরে থাকলেও, সংখ্যায় কম লুকানো শত্রু সহজে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। যেইনা memory cell গুলো ক্লান্ত হয়ে বাড়িতে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, অমনি সেই লুকানো শত্রু সংখ্যা বৃদ্ধি করে আবার আক্রমণ করে, হল relapse!
অর্থাৎ যে কোন infection দুইভাবে re-infection হতে পারে, আবার হতে পারে relapse ও!
তাই যুদ্ধ শেষে শরীরে তৈরি হওয়া নিজস্ব memory cell এর উপর পুরোপুরি নির্ভর করা কঠিন। memory cell কে সাহায্য করার জন্য তাই কখনো কখনো দরকার হয় বাইরের বাহিনীর সাহায্য। যেমন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী, আমাদের দেশের অনেক সেনা বাইরের দেশে যেভাবে দায়িত্ব পালন করছে!
এই সাহায্যকারী নতুন বাহিনী হল vaccine! তারা দুইভাবে কাজ করতে পারে,
১. প্রয়োজনে memory cell কে সাপোর্ট দিতে পারে। memory cell সংখ্যায় কম হলেও তখন আর ভয় থাকে না।
২. শক্তিশালী সাহায্যকারী বাহিনী memory cell কে ছাড়াই বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে, কারণ তাদের সংখ্যা বেশি, আর চাইলেই প্রয়োজনীয় ব্যাকআপ চলে আসে।
সাহায্যকারী বাহিনীর (vaccine) এই ভূমিকাকে বলে artificial active immunity.
এটা থাকলে re-infection ও relapse দুটোরই ঝুঁকি কমে!
এবার ধরুন কোন সাহায্যকারী বাহিনী (vaccine) নাই। কিন্তু সবাই আক্রমণের স্বীকার। যুদ্ধ করতে করতে সবাই বেশ ক্লান্ত, অনেকে মৃত, অনেকে জীবিত। সবারই যুদ্ধের memory cell আছে, তাই কোথাও কোন viral replication নাই। সবাই এখন নিশ্চিন্ত, কেউ আর কাউকে আক্রমণ করে না, একে বলে Herd immunity!
তাহলে যা বুঝলাম, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুটো জিনিসের একটি লাগবেই,
১. Vaccine (শক্তিশালী জাতিসংঘ ও সাহায্যকারী বাহিনী)
২. Herd immunity (ক্ষয়ক্ষতি শেষে দেশগুলোর মানবিক হয়ে ওঠা)
দ্বিতীয়টা কঠিন বটে, কারণ ক্ষয়ক্ষতির একটা ভয় আছে, কোন দেশের ৬০-৭০% মানুষকে আক্রান্ত হতে হবে! তাই প্রথমটা নিয়েই আমাদের সকল চিন্তা, search the vaccine!
উপরে যে কোন infection বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষে recovered হলেও পরবর্তীতে দুটো সম্ভাবনার কথা বলেছিলাম,
১. re-infection
২. relapse
করোনায় এমন কিছু ঘটবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত না, কারণ কিছু কিন্তু আছে!
জাপানের ওসাকাতে ৪০ বছর বয়সী এক মহিলার ২য় বারের মত করোনা পজিটিভ আসে। যদিও, এটা কি re-infection, না relapse সে ব্যাপারটা নিশ্চিত করে কেউ বলেনি, কিন্তু আশার কথা হল এমন উদাহরণ আর নাই বললে চলে। চায়নাতে স্বল্প পরিসরে বানরের উপর গবেষণা করা হয়, সেই বানরগুলো সেকেন্ড টাইম করোনার বিরুদ্ধে immunized! ❤
এখন দেখার বিষয়, যারা recovered তাদের immunity কতদিন টিকবে। এটা কি life long immunity, না নির্দিষ্ট সময় পরে memory cell কমে যাবে – কমে যাবে antibody titre, সেটা এখনই জোর দিয়ে বলা যায় না, নিশ্চিত হতে আরো সময় লাগবে। তাই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, আগামীর প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে, তাই আবারো search the vaccine..
Edited By : Nahid Hassan.
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.