Hep- A রোগী কে কী Counselling করবেন ?

Hepatitis দ্বিতীয় পর্ব :

Writer : ডা. কাওসার
ঢামেক, কে-৬৫

Hep A ও E নিয়ে আগে পড়েছিলাম। কিভাবে কেন কি দিয়ে হয়, হয়ে কি করে এসব আমরা জানি। আজ মূলত পড়বো এদের Diagnosis ও Treatment নিয়ে।

প্রথম কাজ History নেওয়া, খাবার পানির History, রাস্তা ঘাটে খোলা খাবার পানি, হাবিজাবি খায় কিনা, বাসায় বিশুদ্ধ পানি খায় কিনা, কাছাকাছি আরো কারো গত কয়েকদিনে জন্ডিস হয়েছে কিনা সেসবের History। এগুলো থেকে একটা আইডিয়া পাওয়া যাবে যে water contamination থেকে এই জন্ডিস হয়েছে কিনা। তাহলে প্রাথমিকভাবে আন্দাজ করে নিতে পারবো যে এটা feco oral route এ ছড়িয়েছে, আর কারণ প্রধাণত Hep A. তবে Hep E ও হতে পারে যদিও আমাদের দেশে এটা অতটা কমন না, যতটা কমন পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে, সেখানে travel হিস্ট্রি আছে কিনা।

History শেষে Examinationজন্ডিস দেখি। Liver বড় হয়েছে কিনা, ব্যাথা আছে কিনাViral hepatitis এ সাধারণত tender hepatomegaly থাকে। acute condition এ liver বড় হতে পারে, আর chronic এ সাধারণত ছোট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে hepatic span দেখতে পারি। Upper border of liver dullness থেকে lower border পর্যন্ত মাপতে পারি Midclavicular line এ, USG করেও মাপতে পারি। chronic hepatitis যে সব virus (B,C,D) দিয়ে হয় সেসব ক্ষেত্রে প্রথম দিকে hepatic span বেশি পেলেও পরে আস্তে আস্তে কম পাবো।

জন্ডিস নিয়ে রোগী এলেই আমরা কিছু Test করতে দিই। সবচেয়ে বেশি যেটা দিই S. Bilirubin করি, যদিও শুরুতেই এটা দিয়ে লাভ নেই। viral hepatitis হলে শুরুতে বাড়ে liver enzyme গুলো SGPT SGOT, তারপর বাড়ে S. bilirubin. রোগের শুরুর দিকে এমন হয় যে liver enzyme বেশি, bilirubin কম। কিছুদিন পর bilirubin বেশি, liver enzyme কম। ভাল হয় দুটো একসাথে করতে পারলে। আর রোগী যদি সব একসাথে করার মত সামর্থ্যবান না হয় তো উপরের হিসাব বুঝে দিতে হবে। এই টেস্টগুলো করে বুঝলাম যে Hepatitis হইছে। প্রয়োজনে prothrombin time করতে দেওয়াটা ভাল, কারণ liver function impair হলে সবচেয়ে আগে যার পরিবর্তন হয় সেটা এটা। যদিও পেরিফেরির অনেক জায়গাতেই এটা হয় না, PT লিখলে বুঝে pregnancy test, আর রোগী পুরুষ হলে তো কথাই নেই।

আমরা জানি symptoms ৬ মাসের কম হলে acute, আর ৬ মাসের বেশি হলে chronic. এখন এই hepatitis এর কারণ কি viral না অন্য কোন কিছু সেটা দেখতে হবে।

Alcoholic hepatitis হতে পারে, non alcoholic fatty liver disease (NAFLD) থেকে non alcoholic steatohepatitis (NASH) হতে পারে, liver এর অন্য ডিজিজও হতে পারে। আর viral hepatitis শুধুমাত্র Hep A,B,C,D,E virus দিয়ে না হয়ে Dengue, HSV, EBV দিয়েও হতে পারে। অর্থাৎ সম্ভাবনা অনেক, তাই সবগুলো নিয়ে একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়লে হবে না। স্টেপ বাই স্টেপ আগাতে হবে! শুরুতেই সবচেয়ে প্রচলিত যে টেস্ট আমরা করি সেটা HBsAg. এটা অবশ্যই করা উচিৎ, কারণ আমাদের দেশে এটার হার বর্তমানে 5.4%. করার পর negative পাইলাম, negative পেয়েই বসে থাকা যাবে না, এটাকে চিন্তার একপাশে রেখে উপরের history বিবেচনা করে Hep A এর চিন্তাটাকে মাথায় আনতে হবে, এবং anti HAV করার কথা ভাবতে হবে। যদিও খুব একটা আমরা করি না, কারণ যেহেতু এটা তেমন মারাত্মক না, আর Hep B যেহেতু negative সেহেতু Hep A হওয়ার চান্স বেশি কারণ এ দুটোই আমাদের দেশে বেশি কমন, অর্থাৎ আমরা এ ব্যাপারে একটা indirect Diagnosis করি।

আর Directly Diagnosis করতে চাইলে অবশ্যই anti HAV করতে দেওয়া উচিৎ এটা IgM Detect করবে যা recent infection নির্দেশ করে। আর anti HAV positive মানে রোগী অনেকটা Relax থাকবে যে তার বেশি খারাপ virus থেকে জন্ডিস হয়নি। তবে বিষয়টা এমন না যে Hep A আর Hep B একসাথে হতে পারে না। তাই anti HAV positive আর HBsAg negative পেয়ে একদম নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই, কারণ হয়তো এমনও হতে পারে যে Hep B virus infection ও সাথে আছে এবং সেটা window period এ আছে তাই negative দেখাচ্ছে!

যাই হোক আপাতত Hep B কে সাইডে রেখে আমরা এখন Hep A টা নিয়েই চিন্তা করি। symptoms দেখাতে পারে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই no symptoms! এটা একবার হলেই life long immunity দেয়, immunity দিয়েছে কিনা এবং দিলে কতটুকু দিয়েছে সেটা দেখার জন্য রোগী সুস্থ হওয়ার পর anti HAV IgG করতে পারি।

এবার চিকিৎসা কি দিবো?

চিকিৎসা একটাই, রোগীর সাথে কথা বলা, Counselling করা। এটা ঠিকঠাকমত না হলে রোগী ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হয়ে কবিরাজের দোকানে ছুটবেই। যে কথাগুলো আমাদের বলা উচিৎ,

  • সাধারণ ভাইরাস দিয়ে জন্ডিস হয়েছে, তাই ভয়ের কিছু নেই। অল্প কদিনের ভেতর আশা করছি সুস্থ হয়ে যাবেন। কোন ওষুধের প্রয়োজন নেই।
  • এর কারণ দূষিত খাবার পানি। তাই বিশুদ্ধ খাবার ও পানি পরিষ্কার পাত্রে খাবেন। ঠিকঠাবে হাত ধুবেন। স্যানিট্যারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করবেন।
  • রোগী লোক জিজ্ঞেস করবে, ‘স্যার, রোগীরে খাওয়াবো কি?’
    অনেকে এ ব্যাপারে কি কি খাবে, আর কি খাবে না তার লম্বা বর্ণনা শুরু করে দেয়, যেমন- হলুদ খাবে না, মসলা খাবে না, মাছ মাংস খাবে না, যার কোন প্রয়োজন নাই। বলতে হবে, স্বাভাবিক সব কিছু খেতে পারবে।
    অনেকে বাড়তি কিছু খেতে বলেন, যেমন- ডাবের পানি, আখের রস, যার কোন প্রয়োজন নাই। বরং এসব খাবার গ্লুকোজ লোড বাড়িয়ে liver এর উপর এক্সট্রা প্রেশার ফেলতে পারে।
  • পুরোপুরি বিশ্রামে থাকবে।
  • কোন paracetamol খাবে না, ঘুমের ওষুধ খাবে না। low grade fever থাকতে পারে। fever খুব বেশি হলে low dose paracetamol দেওয়া যাবে, সাথে tepid sponging.
    অনেকে জন্ডিস পেলেই। ursodeoxycholic acid প্রেসক্রাইব করে, যার কোন ভূমিকাই নাই।

আর পরিবারের যারা এখনো আক্রান্ত হয়নি তাদেরকে anti HAV এর vaccine নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন, বা একই পরিবারের কয়েকজন ইতোমধ্যে আক্রান্ত হলে quick prevention হিসেবে বাকি যাদের হয়নি তাদের immunoglobulin দিতে পারেন। তবে এসব দেওয়াটা খুব একটা প্রচলিত না, সিরিয়াস কোন outbreak না হলে দিতে হবে এমনটাও না, কারণ যেহেতু এটা অতটা মারাত্মক না, তাই কোন anti viral ও লাগে না। তবে মারাত্মক হতে পারে যদি রোগী immunocompromised থাকে, বা অন্য কোন liver disease থাকে। সব মিলিয়ে Hep A মোটামুটি একটি নিরীহ RNA ভাইরাস!

Hep A এর সাথে Hep E ও কিন্তু পড়া শেষ, কারণ মোটামুটি সবই এক। প্রথম পর্বে পড়েছি, দুটোই RNA ভাইরাস, দুটোই feco oral route এ ছড়ায়্, দুটোই শুধু acute hepatitis করে। anti HAV এর মত anti HEV করে Diagnosis করতে হয়। পার্থক্যও পড়েছি, দুটোই নিরীহ হলেও Hep A এর তুলনায় Hep E তুলনামূলক খারাপ কারণ pregnancy তে acute liver failure করতে পারে, relapsing hepatitis করে, তাই Hep E তে প্রয়োজনে anti viral দেওয়া যায় – যেটা হল ribavirin, তবে এটা pregnancy safe না। pregnancy safe anti viral একটাই আছে – যেটা tenofovir, যা আবার Hep E তে দিয়ে লাভ নাই! আরো থাকবে পরবর্তী পর্বে…

Edited By : Nahid Hassan.